বয়স বৈষম্য সার্বিকভাবে সমাজের ক্ষতি করছে

Report highlights age discrimination in IT workforce

Ageism harm society at large Source: myageingparent.com

অর্থনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকরা বয়স বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহবান জানিয়েছেন। প্রবীণ অস্ট্রেলিয়ানদের অধিকার রক্ষায় কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থসেবা কিংবা দৈনন্দিন আচার আচরণে নীতিনির্ধারকরা এমন নীতি চান যাতে তাদের বয়সের জন্য বৈষম্যের শিকার না হতে হয়। বয়স বৈষম্য নিয়ে এসবিএসের প্রতিবেদনটি শুনতে ওপরের লিংকে ক্লিক করুন।


অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক ক্যারোলিন বাউম ২০০৮ সালে ‘সিলভার লাইনিংস’ লেখাটির জন্য ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন। লেখাটি ছিল এমন নারীদের নিয়ে যারা তাদের চুল সাদা হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাগত বৈষম্যের শঙ্কায় ছিলেন এবং কর্মক্ষেত্রে বয়স বৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে সংলাপ শুরু করেছিলেন। 

মিস বাউম বলেন, বয়স বৈষম্য এখন কর্মক্ষেত্র ছাড়িয়ে সাধারণ আলোচনা এবং প্রবীণদের প্রতি আচরণের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি যখন তার মাকে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে যান সেখানে তার কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ঘটে।

এভরি এজ কাউন্টস -এর চালানো একটি অনলাইন কুইজে দেখা যায় যে, ৫৪% ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন ‘ওল্ড ডিয়ার’ কথাটির মধ্যে কোন অন্যায় নেই,আবার ১৮% ভাগ মনে করেন বৃদ্ধা রোগীদের দেখার জন্য ডাক্তারদের উচিত তার পুত্রের অনুমতি নেয়া। 

COTA চিফ এক্সেকিউটিভ ইয়ান ইয়েটস বলেন, বয়স বৈষম্যের অনেক রূপ আছে এবং অনেকেই নিজের অজান্তে এ নিয়ে অন্যায় করে থাকেন। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান হিউমান রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে ৩০% ভাগ চাকরীদাতা বয়স বৈষম্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মিঃ ইয়েটস বলেন যে, কর্মক্ষেত্রে বয়স্কদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সার্বিকভাবে সমাজের জন্য ক্ষতিকর।  


Share