'বিএনপির আশংকার চেয়ে ভয়ংকর, সরকারের চাওয়ারও বেশী একতরফা নির্বাচন'

Election

Bangladeshi PM Sheikh Hasina (R) daughter Saima Wazed Hossain (L) and her sister Sheikh Rehana (C) at a polling station in Dhaka, Bangladesh, 30 December 2018. Source: AAP Image - EPA/STR

'নির্বাচনের শুরু থেকেই দেশের মানুষ, বিরোধী পক্ষ এবং আইন শৃংখলা বাহিনীকে সরকারি দল আগাম বার্তা দিতে পেরেছিল যে নির্বাচন হবে নিয়ন্ত্রিত,' বলেছেন সাংবাদিক সফিক শাহীন। ভোটের মাঠ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করেছেন সফিক শাহীন, তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হালচাল জানতে তার সাথে কথা বলেছেন এসবিএস বাংলার হাসান তারিক।


কেমন হলো নির্বাচন?

যা হওয়ার কথা ছিল তাই হয়েছে। তারচেয়ে বেশীই হয়েছে বলা যায়। ক্ষমতাসীন দলও একতরফা বিজয় চায়নি। বিরোধী দলের আশংকার চেয়েও ভয়ংকর এই নির্বাচন।

কোন কোন আসনে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন?

ঢাকা ৫,৬ এবং ৭ আসনের নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করি। সকাল সাতটায় ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে যাই। সেখানে মহাজোটের পোলিং এজেন্ট থাকলেও ছিল না বিরোধী পক্ষের কেউ। 

ভয়- শংকার পরিবেশের পাশাপাশি ছিল মামলা- হামলা। ফলে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষেও কাজ করতে পারেননি বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীরা। 

ভোটারদের প্রতিক্রিয়া কি?

ভোটাররা কেউ কথা বলেছে, কেউ বলেনি। মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। মানুষের ভোট দেয়ার আগ্রহ ছিল। তবে কোথা কোথাও ধীর গতিতে চলছিল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। নারী ভোটারদের লাইন ছিল দীর্ঘ। 

সরকারি দলের লোকজন এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে সরগরম রেখেছিল ভোটের মাঠ। লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন তারা। আর তাই এটাকে নিষ্প্রাণ ভোট বলা যাবে না।
Election
সফিক শাহীন। Source: Supplied

কতটা স্বাধীন ছিল গণমাধ্যম?

ঢাকায় গণমাধ্যম অনেকটাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেনি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। ফলে ভুয়া ভোট দেয়া হচ্ছে কিনা তা যাচাই করার সুযোগ ছিল না। 

কোথাও কোথাও ভোটকেন্দ্রের ভিতরেও গণমাধ্যম কর্মীদের বাঁধা দেয়া হচ্ছিল। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের চেয়েও পুলিশের কাছ থেকেই বেশী বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিশের অনুমতি মিললেই ঢোকা যেত ভোটকেন্দ্রে।

পুরো সংবাদ শুনতে উপরের অডিও লিংকে ক্লিক করুন।


Share