সিডনি অলিম্পিক পার্কের বৈশাখী মেলা নিয়ে কী বললেন শেখ শামীমুল হক?

জনপ্রিয় বৈশাখী মেলার অন্যতম আয়োজক, বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শামীমুল হক বলেন, রোযার আগে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মেলা হচ্ছে না এটা নিশ্চিত।

জনপ্রিয় বৈশাখী মেলার অন্যতম আয়োজক, বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শামীমুল হক বলেন, রোযার আগে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মেলা হচ্ছে না এটা নিশ্চিত। Source: SBS

সিডনিতে গত প্রায় ২৯ বছর ধরে নিয়মিত বৈশাখী মেলার আয়োজন করে আসছে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া। এ বছর কী মেলা অনুষ্ঠিত হবে? এ নিয়ে এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন বৈশাখী মেলার অন্যতম আয়োজক শেখ শামীমুল হক।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো

  • কোভিড-১৯ এর কারণে গত বছর বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয় নি।
  • এ বছর মেলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পান নি আয়োজকরা।
  • মেলার আয়োজনে অন্তত ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর বৈশাখী মেলার আয়োজন করে থাকে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর বৈশাখী মেলার আয়োজন করে থাকে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া। Source: SBS
বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় বৈশাখী মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাড়াও, বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড থেকেও বাঙালিরা ছুটে আসেন। তবে, গত বছর মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে, সেই মেলা বাতিল করা হয় এবং স্পন্সর ও স্টলগুলোর জন্য সংগৃহীত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বছর কী মেলা অনুষ্ঠিত হবে? এ প্রশ্নের জবাবে মেলার অন্যতম আয়োজক, বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শামীমুল হক কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞাগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন,

“বৈশাখী মেলার যে ঘোষণা, এ বছর আমরা কিন্তু ঘোষণা বেসিক্যালি দেই নি।”

তিনি বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিনি কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পান নি।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর বৈশাখী মেলার আয়োজন করে থাকে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ ১৩ বছর তারা সিডনির বারউড গার্লস হাই স্কুলে এর আয়োজন করেছেন। ২০০৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই বৈশাখী মেলা সিডনি অলিম্পিক পার্কের অ্যাথলেটিক সেন্টারে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে, এএনজেড স্টেডিয়ামে চার বছরসহ, দীর্ঘ প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বছর এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এত বড় একটি মেলার আয়োজন করতে অনেক সময় ও শ্রমের দরকার হয়।

“এই মেলার আয়োজনেও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে”, বলেন তিনি।

“আমরা মনে করেছিলাম যে, গভার্নমেন্ট থেকে যখনি আমরা গ্রিন সিগন্যালটি পাব, তখন আমরা এটা করবো।”

“কিন্তু, যেহেতু এটি একটি অন্য রকমের সিচুয়েশন, অস্ট্রেলিয়াতে ভ্যাকসিন রোল-আউট হচ্ছে পুরোদমে এবং গভার্নমেন্টের প্লান অনুযায়ী মোটামুটি এগুচ্ছে এবং সেই রকমের এগুলে বা রেস্ট্রিকশন্সগুলো কমপ্লিটলি উঠে গেলে আমরা অন্য কোনো সময়ে বছরের, অন্য কোনোভাবে আমরা ফেস্টিভ্যালটা করতে পারি কিনা সেটা আমরা কমিউনিটিকে জানাবো।”

তিনি বলেন, রোযার আগে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মেলা হচ্ছে না এটা নিশ্চিত।

শেখ শামীমুল হকের সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share