দীর্ঘস্থায়ী কর্মী-সঙ্কটের কারণে চাপের মুখে পড়ছে ব্যবসাগুলো

Sydney cafe owner Anthony Iacono

Sydney cafe owner Anthony Iacono. Source: SBS

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্টাটিস্টিক্স এর রিপোর্ট অনুসারে দেশটিতে বেকারত্বের হার এখনও ৪.৬ শতাংশ। গত মাসে প্রায় ১৪০,০০০ লোক কাজ হারিয়েছে। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলো বন্ধ থাকায় অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীদের আগমন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে কর্মী-সঙ্কটে পড়েছে ব্যবসাগুলো।


গত বছর যখন আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলো বন্ধ করা হয়েছে, তখন থেকেই দীর্ঘস্থায়ী কর্মী-সঙ্কটের কারণে চাপের মুখে পড়েছেন সিডনির ক্যাফে-মালিক অ্যান্থোনি লাকোনো।

তিনি বলেন, বর্তমানে তিনি তার ব্যবসার ৭০ শতাংশ সামর্থ্য কাজে লাগাতে পারছেন।
ভবিষ্যতে অভিবাসন বৃদ্ধির চাহিদা তুলে ধরে এটি। ইউটিএস বিজনেস স্কুলের প্রফেসর জক কলিন্স বলেন,

অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারের ৬০ শতাংশ রয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ায়। এই দু’টি অঙ্গ-রাজ্যে লকডাউনে গত সেপ্টেম্বরে ১৩৮ হাজার লোক কাজ হারিয়েছে।

এদিকে, বেকারত্বের হার ৪.৫ থেকে ৪.৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। কারণ, খুব কম লোকই কাজের খোঁজ করেছে। টানা তিন মাস ধরে কাজ খোঁজার হার কমে যেতে দেখা যাচ্ছে।

কর্মী-সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, কোভিড-পূর্ব সময়ের মতো অভিবাসীদের আগমন অদূর ভবিষ্যতে আর ঘটতে দেখা যাবে না।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত ডেমোগ্রাফার ড. লিজ অ্যালেন বলেন,

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্টাটিস্টিক্স অনুসারে, কর্ম-ঘণ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে কুইন্সল্যান্ডের ব্যবসাগুলোর কর্ম-চাঞ্চল্য ও নিউ সাউথ ওয়েলসে কোভিড নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার প্রতিফলন দেখা যায়।

তবে, লকডাউনের কারণে ভিক্টোরিয়া ও এসিটি-তে কর্ম-ঘণ্টা কমে গেছে এবং অনেকেই কাজ হারিয়েছেন।

ইতোমধ্যে জাতীয়ভাবে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে ০.১ শতাংশেরও কম।

বি-আই-এস অক্সফোর্ড ইকনোমিক্স এর চিফ ইকনোমিস্ট সারাহ হান্টার বলেন,

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে লকডাউন তুলে নেওয়ায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share