অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে তিন বছর বয়সী একটি প্রতিবন্ধী শিশুকে

Kayban Jamshaad (SBS)

Kayban Jamshaad was born in a West Australian hospital with severe disabilities, but his now at risk of being deported from the country. Source: SBS

ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান একটি পরিবার বলছে, তাদের তিন বছর বয়সী ছেলের জীবন সংশয় হতে পারে, যদি হোম অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। কেইবান জামশেদের জন্ম একটি ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান হাসপাতালে। সে মারাত্মক ডিজেবিলিটি বা প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু, এখন তাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিপোর্ট বা বহিষ্কার করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।


অস্ট্রেলিয়ায় কেইবান জামশেদের মতো খুব কম লোকই আছে। মারাত্মক ডিজেবিলিটি নিয়ে ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া কেইবান জামশেদের লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছিল চিকিৎসকরা, যখন তার বয়স মাত্র ১ সপ্তাহ।
সে জীবন লাভ করেছে কিন্তু তিন বছর পর সে নতুন একটি সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে।
তার বাবা-মা, ভাই-বোন সকলেই টেম্পোরারি রেসিডেন্সি ভিসা পেয়েছে। কিন্তু, তার ভিসা-আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান শহর Bunbury র একজন সমাজকর্মী Shizleen Aishath এর সন্তান হলো এই কেইবান জামশেদ।
কেইবানের ভিসা-আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় মেডিকেল গ্রাউন্ডে। বলা হয় তার চিকিৎসা-খরচ ৪৯ হাজার ডলারের থ্রেশহোল্ড অতিক্রম করে যায়। ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স বলছে, তার কেসটি কমপ্যাসনেট গ্রাউন্ডে বিবেচনা করা যায় না।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেম্পোরারি ভিসার আবেদনকারী হিসেবে কেইবান সে-সব সেবা পাওয়ার উপযুক্ত নয় যেগুলোর জন্য খরচ হিসাব করা হয়েছে।
 
কেইবানের পরিবারের জন্য বিনে-পয়সায় সেবা দিতে চেয়েছেন ডিজেবিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড মাইগ্রেশন এজেন্ট জেন গথার্ড।
একটি বিবৃতিতে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স বলেছে, তারা তাদের প্রক্রিয়াকরণে ডিজেবিলিটি আছে এমন ভিসা-আবেদনকারীদের প্রতি বৈষম্য করছে না।
বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে:
“The existing requirements of the Migration Act are in place to protect the community from public health and safety risks, contain public expenditure on health care and community services, and safeguard the access of Australian citizens and permanent residents to health care and community services in short supply.”
“The current migration health framework is pragmatic and balances compassion and cost containment by having a standard health requirement for visa applicants.”
 
কেইবান জামশেদকে ভিসা না দেওয়ার ডিপার্টমেন্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি আপিল করা হলে এ বিষয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে এ মাসের শেষের দিকে শুনানি হবে।
এটা ব্যর্থ হলে, তার পরিবারকে নির্ভর করতে হবে ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপের উপর। অন্যথায়, এর পর ২৮ দিনের মধ্যে কেইবান জামশেদকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে।
গত উইকএন্ডে একটি "Save Kayban" মার্চ অনুষ্ঠিত হয় তার হোমটাউন Bunbury তে।
কেইবান কতোদিন বাঁচবেন তা পরিষ্কার নয় বলে, তার পরিবার বলছে, তার চিকিৎসা যদি অস্ট্রেলিয়ায় চালিয়ে যাওয়া হয়, তার অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
কিন্তু তাকে যদি জোর করে বের করে দেওয়া হয়, তার জীবন-সংশয় হবে।



পার্থে কেইবানের কেসটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাপিলস ট্রাইবুনালে শোনা হবে ২৯ আগস্টে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share