করোনাভাইরাস: উহান থেকে ক্রিসমাস আইল্যান্ডে আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ানদের প্রথম দল

Inside the facility on Christmas Island

Inside the facility on Christmas Island. Source: Supplied

অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১৩ ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ, কুইন্সল্যান্ডের একটি আট বছরের ছেলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে, উহান থেকে নিয়ে আসা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের প্রথম দলটিকে ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হয়েছে।


করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান শহর থেকে ফিরিয়া আনার পর ২৪০ ব্যক্তিকে এখন ক্রিসমাস আইল্যান্ডে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের এই শহরটি এখন ভূতুরে নগরীতে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়েছে। যারা এখন সেখানে আছেন তারা অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান পার্মানেট রেসিডেন্ট ইং ওয়াং এবং তার পরিবার রয়েছে।

ইং ওয়াং বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়াতে ফিরতে চাই।

এয়ার নিউজিল্যান্ডের একটি ফ্লাইট উহান থেকে ৩৫ জন অস্ট্রেলিয়ান নিয়ে অকল্যান্ডে অবতরণ করেছে। সরকার বলছে, তারা দ্বিতীয় পর্যায়ে আরেকটি প্লেন পাঠাবে উহান থেকে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে ফিরিয়ে আনতে।

তবে কোয়ান্টাস আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চীনে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করতে যাচ্ছে। এর ফলে ওই সব আটক পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সময় দ্রুত কমে আসছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলছেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

উহান থেকে প্রথমে যেসব নাগরিকদের ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে এনে রাখা হয়েছে। কিন্তু, ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও স্থানীয়দেরকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়া হয় নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

ক্রিসমাস আইল্যান্ডের এক ব্যক্তি বলেন, তার শিশু রয়েছে।

ক্রিসমাস আইল্যান্ড শায়ারের প্রেসিডেন্ট গর্ডন থমসন বলেন, উহান থেকে ক্রিসমাস আইল্যান্ডে মানুষ নিয়ে আসার বিষয়ে তাদেরকে কোনো রকম সতর্ক করা হয় নি।

করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে সহায়তা করায় অস্ট্রেলিয়ার চীনা কমিউনিটির প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .



Share