তাপমাত্রা বাড়ছে আবারও, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করলেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব

People visit a thermometer Sunday, July 11, 2021

People visit a thermometer Sunday, July 11, 2021, in Death Valley National Park, California. Source: AP/John Locher

সম্প্রতি প্রকাশিত দুইটি নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সূচক বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গেছে। পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করার আহবান জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনগুলোয়।


জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটাইরেস উদ্বিগ্ন কন্ঠে সকল রাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমাদের ওপরে পরিবেশ বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লিউ এম ও-র সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সাত বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ, ২০২১ এ যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।

বিশ্বব্যাপী সব দেশে এই তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে।

ডব্লিউ এম ও-র মহাসচিব পেতেরি তালাস জাতিসঙ্ঘে বলেছেন যে দক্ষিণ ইটালি, ক্যানাডা, স্পেন ও টার্কি এই সবগুলো দেশই গত গ্রীষ্মে উষ্ণতার সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

এমনকি গত দুই বছরে কোভিডের কারনে লকডাউন থাকলেও এই পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের জলবায়ু কার্যক্রম বিষয়ক উপদেষ্টা সেলউইন হার্ট বলেন, এই ক্ষতিকর প্রভাবের অনেকগুলোই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলছে মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে।

উত্তর আমেরিকার পুরোটা জুড়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে। এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি গত বছরের জুলাই মাসে ৫৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। একই তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালেও। ১৯৩০ সালের পরে এটিই রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।  

আমাদের গ্রহ এত দ্রুত উষ্ণ হয়ে ওঠার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির হার অতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে।

মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ইতিমধ্যেই আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন আচরণের ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষের বসবাসের জায়গা ছোট হয়ে আসছে, খাদ্য সংকট বাড়ছে, এবং বাড়িঘরও ধ্বংস হচ্ছে অনেক।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবোকও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 
অস্ট্রেলীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্বেগজনক প্রতিবেদনের তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

এসবিএস নিউজ ফেডারাল পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী সুসান লে-র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাঁর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রিচি মেরজিয়ান হলেন ক্যানবেরায় অবস্থিত দি অস্ট্রেলিয়া ইনস্টিটিউটের ক্লাইমেট ও এনার্জি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর।

জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন কনফারেন্সগুলোয় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে তিনি প্রায় এক দশক ধরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু ও শক্তির এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছেন।  

তাঁর মতে এ বিষয়ে আগের লিবারাল-ন্যাশনাল কোয়ালিশান সরকারের ভূমিকা কোনওভাবেই প্রশংসনীয় কিছু নয়।

অভিযোগ কঠোর, তবে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ুর ভবিষ্যৎ উন্নত করতে নতুন সরকারকে এগুলোর সঠিক জবাব খুঁজে বের করতে হবে শীঘ্রই।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।


 Follow SBS Bangla on .

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।

রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন:  

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share