২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে যে-সব পরিবর্তন আসছে

Signage for the Australian Government Department of Home Affairs is seen in Melbourne, Saturday, January 15, 2022. Novak Djokovic still faces uncertainty as to whether he can compete in the Australian Open, despite being announced in the tournament draw.

Signage for the Australian Government Department of Home Affairs is seen in Melbourne. Source: AAP Image/James Ross

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনের ক্ষেত্রে কী কোনো পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে? করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ২০২১ সালে নানা রকম পরিবর্তন আসতে দেখা গেছে। নতুন বছরের শুরুতে কী রকম পরিবর্তন আনা হতে পারে? এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্ট কাউসার খান।


নতুন বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্ট কাউসার খান। করোনাভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন আর সীমান্ত বন্ধের কারণে বিগত দুই বছর কেটেছে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে। নতুন বছরে একটি পরিকল্পিত অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে চায় অস্ট্রেলিয়া সরকার, বলেন তিনি।

তার মতে, “অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে আন্তর্জাতিক শিক্ষা অঙ্গনে”।
কাউসার খান আশা করেন, “সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ভিসাধারী অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করবে”।

“২০২১ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত খোলার পর থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, উচ্চ-দক্ষতা-সম্পন্ন কর্মী, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাই কেবল অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে। এজন্য ভ্রমণকারীকে অবশ্যই সম্পুর্ণ টিকা গ্রহণ করা থাকতে হবে।”

অচিরেই শরণার্থী এবং অস্থায়ী পরিবারের ভিসাও উন্মুক্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময়ে বহু অস্থায়ী ভিসাধারী বিভিন্ন কারণেই অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করেছেন। আর, অস্থায়ী ভিসায় বাকি যারা থেকে গেছেন তাদের সহজে স্থায়ী বাসিন্দার ভিসা দেওয়ার একটা সুযোগের কথা রয়েছে অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে, বলেন কাউসার খান।

“এর মধ্যে কয়েকটি প্রক্রিয়ার ঘোষণাও চলে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে অস্থায়ী স্কিল স্ট্রিমে প্রায় ৭৯,৬০০টি ভিসা দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গত নভেম্বরেই স্বাস্থ্য ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট খাতের কর্মীদের ভিসায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়। যারা এ খাতে ২০২০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করছিলেন তারা স্থায়ী বাসিন্দার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় ভিসা সাবক্লাস ৪৮২ এর শর্ট স্ট্রিমের ভিসাধারীদের সুবিধা বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সুযোগে প্রায় ২০ হাজার অস্থায়ী ভিসাধারী সুবিধা পাবেন।”

এছাড়া, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ এর পর থেকে যে-সকল গ্র্যাজুয়েট ভিসার মেয়াদ চলে গেছে তারা নতুন ভিসায় আবেদন করে মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভিসাটি চালুর কথা রয়েছে। এছাড়া গ্র্যাজুয়েট ভিসার মাস্টার্স স্ট্রিমের মেয়াদ ২ বছর থেকে ৩ বছরে বাড়ানো হবে এবং গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্ক স্ট্রিমের মেয়াদ ১৮ মাস থেকে বাড়িয়ে ২৪ মাস করা হবে, বলেন কাউসার খান।
Kawsar Ali Khan
রেজিস্ট্রার্ড মাইগ্রেশন এজেন্ট কাউসার খান আশা করেন, “সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ভিসাধারী অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করবে”। Source: Kawsar Khan

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এখানে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন বিষয়ে সাধারণ তথ্য এবং সুনির্দিষ্ট কোন পরামর্শ নয়। কেউ যদি আরও প্রাসঙ্গিক এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে চান, তাহলে একজন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করুন। 

আপনি কীভাবে একজন মাইগ্রেশন এজেন্ট খুঁজে পাবেন সেজন্য ভিজিট করুন: 

আরো তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: অস্ট্রেলিয়া গভর্নমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স: 

 শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের  ভিজিট করুন।

কাউসার খানের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share