প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করতে তিন ধাপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন

Scott Morrison

Australian Prime Minister - Scott Morrison Source: SBS

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করতে ন্যাশনাল কেবিনেটের তিন ধাপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এই পরিকল্পনার প্রথম ধাপে থাকছে ক্যাফে, রেস্তরাঁ, দোকানপাট, এবং কিছু পাবলিক প্লেস খুলে দেয়া।


করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করতে এবং অস্ট্রেলিয়াকে কোভিড-১৯ থেকে নিরাপদ করার জন্য তিন পর্যায়ের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। 

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, সরকার মনে করছে আগামী মাসগুলোতে ৮৫০,০০০ মানুষ কাজে পুনরায় যোগ দিতে পারবেন। 

যদিও প্রধানমন্ত্রী জুলাইয়ের মধ্যে এই পরিকল্পনার তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছার প্রত্যাশা করছেন, তারপরেও নিজেদের রাজ্যের গণ-স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং স্থানীয় অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্টেট এবং টেরিটোরিগুলো তাদের সুবিধামত সময়ে এ পর্যায়গুলোর পর্যালোচনা এবং বাস্তবায়ন করবে।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অস্ট্রেলিয়া সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় নির্ধারণ করেছে।

এই পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে মনোযোগ দেওয়া হবে অর্থনীতি পুনরায় চালু করার প্রতি। অস্ট্রেলিয়ানদেরকে কাজে এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে ১০ জন পর্যন্ত জমায়েত করা, পারিবারিকভাবে দেখা-সাক্ষাতের ক্ষেত্রে বাড়িতে ৫ জন দর্শনার্থীর অনুমতি প্রদান এবং কতিপয় স্থানীয় ও আঞ্চলিক ভ্রমণের অনুমতি প্রদান।

দ্বিতীয় পর্যায়ে জমায়েতে লোকসংখ্যা ২০ জন পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া, আরও বেশি সংখ্যক কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে, যেমন, জিম, বিউটি সার্ভিস এবং বিভিন্ন এন্টারটেইনমেন্ট ভেন্যু, যেমন, গ্যালারি এবং সিনেমা। কোন কোন ক্ষেত্রে ইন্টারস্টেট ট্রাভেলের অনুমোদন দেয়া হবে। 

তৃতীয় পর্যায়ে আমরা দেখবো কোভিড থেকে নিরাপদ জীবনযাপন ও কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে উত্তরণের বিষয়টি। এই পর্যায়ে জমায়েতে লোক সংখ্যা ১০০ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ের অধীনে গৃহীত ব্যবস্থাগুলো হবে ‘নিউ নরমাল’ বা আগের অবস্থায় প্রত্যাবর্তনের শুরু। ভাইরাসটি তখনও একটি হুমকি হিসেবে গণ্য হবে। ১০০-এর বেশি লোকের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং গণ-জমায়েত তখনও নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় ফুড-কোর্ট, সউনা এবং ইন্টারস্টেট ট্রাভেলের অনুমোদন দেয়া হবে।  

তবে নিউ জিল্যান্ড ব্যতীত আন্তর্জাতিক সীমানাগুলো বন্ধ থাকবে এবং যারাই দেশে প্রবেশ করবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে। 

করোনাভাইরাস সম্পর্কে আর হালনাগাদ তথ্য জানতে ভিজিট করুন sbs.com.au/coronavirus

পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন 

আরও পড়ুনঃ 



Share