অস্ট্রেলিয়ানদের মানসিক চাপ বেড়েছে, রিপোর্ট

Depressed asian woman sitting on sofa holding a cushion

Depressed asian woman sitting on sofa holding a cushion. Source: Moment RF

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অস্ট্রেলিয়ানদের মানসিক চাপ বেড়েছে। দৈনন্দিন জীবনে তাদেরকে আর্থিক সংগ্রামে লিপ্ত হতে হচ্ছে। HILDA রিপোর্ট অনুসারে, বিগত ২০ বছরে দেশটির উপার্জন বৃদ্ধির হার ধীর হয়েছে এবং বেতন-অসাম্য কমানোর হারও সন্তোষজনক নয়।


বার্ষিক হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড লেবার ডাইনামিক্স রিপোর্ট সংক্ষেপে HILDA রিপোর্ট নামে পরিচিত। সাড়ে নয় হাজারেরও বেশি সংসারের উন্নয়নের রিপোর্ট এতে তুলে ধরা হয়েছে।

এই সমীক্ষাটির লিড অথর, মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রজার উইলকিন্স বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়কাল এতে বিবেচনা করা হয়েছে।
সম্পৃক্ততার অভাব এবং কঠোর ও সংগ্রামপূর্ণ দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রভাব করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়ার আগেই পড়ছিল।

এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া নারীদের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ বলেছেন যে, তারা মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। এতে অংশ নেওয়া পুরুষদের মধ্যে পাঁচ ভাগের এক ভাগ একই কথা বলেছেন।

রিসার্চ ফেলো ড. ফার্ডি বোথার মতে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মানসিক চাপে ভোগার বেশি সম্ভাবনা থাকে।

এই রিপোর্টে সাংসারিক খরচের প্রতি নজর দেওয়া হয়েছে।

২০০১ সাল থেকে বেতন-অসাম্য কমানোর ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি হয় নি।

পারিবারিক উপার্জন বৃদ্ধির হার ধীর হয়েছে, সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে যা ছয় শতাংশ। বিগত আট বছরে এটা ছিল ১৮ শতাংশ। প্রফেসর উইলকিন্স বলেন, এই শতকের প্রথম ও দ্বিতীয় দশকের মাঝে এটি সমৃদ্ধির বৈষম্য তুলে ধরে।

Follow SBS Bangla on .

তবে, এক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় দৈনিক ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমেছে। ২০ বছর আগে যেখানে এটি জনসংখ্যার ১৯ শতাংশ ছিল, এখন তা ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।

আর, সপ্তাহে পাঁচ দিনের বেশি মদ্যপানকারীদের সংখ্যাও কমেছে। ২০০২ সালে এটি ছিল ১৫ শতাংশ। এখন এটি ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।

তবে, প্রতি দশ জন অস্ট্রেলিয়ানের মাঝে প্রায় ছয় জনেরই স্থূলতা বা অবেসিটি আছে। এই হাউজহোল্ড স্ন্যাপশটে আরও দেখা যায়, সন্তান-গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতার মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।

৩৫ বছর বয়সী নারীদের মাত্র অর্ধেক সংখ্যক নারী সন্তান নেওয়ার কথা ভেবেছেন এবং বাস্তবিকভাবে ৪৯ বছরে গিয়ে তারা সন্তান নিতে পেরেছেন।

সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এসপারেঞ্জা ভেরা টসকার্নো দেখতে পান, পরিবারের আকার ব্যতিক্রমহীনভাবে অনেক ছোট হয়ে গেছে, যেমনটি আশা করা হয়েছিল, তার তুলনায়।

অস্ট্রেলিয়ায় ফার্টিলিটি রেটও এ রকম, যা এখন কমে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন:

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share