প্রেসের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

Amal Clooney and Foreign Secretary Jeremy Hunt

Amal Clooney and Foreign Secretary Jeremy Hunt. Source: AAP

সাংবাদিকদের রক্ষা করতে বিশ্ব নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একজন শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবী। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের পর অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে যার ফলে এই অভিযোগ আসে।


সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী আমল ক্লুনি সাংবাদিকদের রক্ষা করার ব্যর্থতা নিয়ে বিশ্ব নেতাদের অভিযুক্ত করেছেন, এমনকি "গণমাধ্যমকে শত্রুভাবাপন্ন করার" জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও সমালোচনা করেছেন।

তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের দূত হিসেবে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের সুরক্ষার লক্ষে অনুষ্ঠিত লন্ডন সম্মেলনে বক্তৃতা করেন।

জেমস ম্যাডিসন ১৮০৯ থেকে ১৮১৭ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং আমেরিকান সংবিধান প্রণয়ন ও প্রচারের জন্য একটি মুক্ত প্রেসের সমর্থক ছিলেন।

সম্মেলনটি আহবান করেছে ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান সরকার। এতে  ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী জেরেমি হান্ট বলেন, গত দশ বছরে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে।

সমাবেশে বিশ্বব্যাপী তহবিল গঠনের ঘোষণা দেয়া হয় যা জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো দ্বারা পরিচালিত হবে। এতে  বিপজ্জনক এলাকাগুলোতে  সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ, আইনি সহায়তা এবং অন্যান্য বিষয়ে সহায়তা দেয়া হবে।

সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ায় প্রেস ফ্রিডম বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়। আমাল ক্লোনি সম্প্রতি এবিসি অফিসে সাম্প্রতিক ফেডারেল পুলিশের অভিযানকে একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন যেখানে কিছু ক্লাসিফায়েড ম্যাটেরিয়াল একটি সংবাদ প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়েছিল।

গত মাসে  দেশের তিনটি সিনিয়র মিডিয়া কর্মকর্তাগণ ক্যানবেরার একটি সভায়  সাংবাদিকদের রক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নে চাপ সৃষ্টি করেন।

নিউজকর্পের নির্বাহী চেয়ারম্যান মাইকেল মিলার বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার আইন পরিবর্তন করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রখ্যাত পররাষ্ট্র প্রতিবেদক পিটার গ্রেস্ট, যিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে  প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন - তিনি এসবিএসকে বলেছেন যে অস্ট্রেলিয়ার আইন সাংবাদিকতার সুরক্ষায় যথেষ্ট নয়।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে (জুলাই ৮) খবর বেরোয় যে, এ-এফ-পি বিমান সংস্থা কোয়ান্টাসের কাছে এ-বি-সি রিপোর্টার ড্যান ওকসের ফ্লাইটের বিস্তারিত জানার জন্য জিজ্ঞাসা করেছিল।আফগানিস্তানে অস্ট্রেলীয় সৈন্যদের অসদাচরনের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ করা সংবাদ ফাঁসের উৎস নিয়ে তদন্তের অংশ হিসাবে তারা এটা করেছিল।

বিরোধী দলীয় নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজি  সরকারকে এ বিষয়ে এ-এফ-পির তৎপরতা  কি ছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

লন্ডনের সম্মেলনে জেরেমি হান্ট বলেন যে কিছু করতে না চাওয়া কোন বিকল্প হতে পারে না।

প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .


















































Share