ইন্ডিজেনাস প্রোটোকল সম্পর্কে জানা সবার জন্যে কেন গুরুত্বপূর্ণ

Young Adult Indigenous Australian
Woman Dancing

Indigenous cultural protocols are based on ethical principles. Source: iStockphoto / chameleonseye/Getty Images/iStockphoto

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবঅরিজিনাল অ্যান্ড টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগণের সাংস্কৃতিক সৌজন্যবিধি পালন করা, আমরা যে ভূমিতে বসবাস করি সেটির ট্র্যাডিশনাল ওউনারদের সম্মান জানানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে জানুন সিরিজের এই প্রতিবেদনে আমরা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সৌজন্যবিধি সম্পর্কে জানতে পারব, যেগুলো আমাদের আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং ফার্স্ট অস্ট্রেলিয়ানদের অনন্য জ্ঞান ও মর্যাদাকে সম্মান দেয়া শেখাবে।


গুরুত্বপূর্ণ দিক:
  • হাজার হাজার বছর ধরে ফার্স্ট অস্ট্রেলিয়ানরা সাংস্কৃতিক শিষ্টাচার পালন করে আসছে।
  • অ্যাবঅরিজিনাল এল্ডাররা হলেন কমিউনিটির সম্মানিত সদস্য যারা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে গভীর জ্ঞান রাখেন।
  • আচরণবিধি সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে সংকোচ বোধ করার কারণ নেই, তবে তা যেন শ্রদ্ধাপূর্ণ হয়।
  • উপযুক্ত এবং সংবেদনশীল ভাষা ব্যবহার করা শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি সহজ উপায়।
ইন্ডিজেনাস সাংস্কৃতিক সৌজন্যবিধিগুলো সাধারণত আমাদের নীতিগত আচরণের উপর নির্ভর করে, এবং এগুলো অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগণের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত ও আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে দেয়।

এই সম্পর্কগুলো লালন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা ফার্স্ট অস্ট্রেলিয়ানস। আদিবাসী ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার মানুষেরা এদেশের ভূমি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখে, এবং এখানকার পরিবেশের যত্ন কীভাবে নিতে হবে সে সম্পর্কে তারা আমাদের অনেক কিছু শেখাতে পারে।
AC Milan v AS Roma
Aboriginal dancers perform during the welcome to country before the friendly between AC Milan and AS Roma at Optus Stadium on May 31, 2024 in Perth, Australia. Credit: Paul Kane/Getty Images
ক্যারোলাইন হিউস এসিটি ও রিজনের একজন নানাওয়াল এল্ডার। একজন অ্যাবঅরিজিনাল এল্ডার হিসেবে তার গভীর সাংস্কৃতিক জ্ঞানের জন্য তিনি উচ্চ সম্মানিত আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

রোডা রবার্টস হলেন এসবিএস-এর এল্ডার ইন রেসিডেন্স।

তিনি বলেন,
সাংস্কৃতিক সৌজন্যবিধি পালন করার মাধ্যমে ফার্স্ট অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে তাদের ভূমি ও প্রাচীন রীতিনীতির সাথে অবিচ্ছিন্ন সংযোগকে আমরা স্বীকৃতি দিই।

Both the Aboriginal and Torres Strait Islander flags are flown alongside the Australian national flag to acknowledge these distinct Indigenous peoples.
Both the Aboriginal and Torres Strait Islander flags are flown alongside the Australian national flag Source: AAP / AAP Image/Mick Tsikas
‘ইন্ডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ান’ শব্দগুলোর মাধ্যমে সাধারণত অ্যাবঅরিজিনাল এবং টরে স্ট্রেইট দ্বীপপুঞ্জের মানুষ উভয়কেই বোঝানো হয়। তবে অ্যাবঅরিজিনাল মানুষেরা নিজেদের পরিচয় আরও সুনির্দিষ্টভাবে দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে তারা নিজেদের ভূমির পরিচয় আরও সুস্পষ্টভাবে বহন করে।

ক্যারোলাইন হিউস একজন নানাওয়াল নারী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ভিক্টোরিয়া বা নিউ সাউথ ওয়েলসের মানুষদের প্রায়ই বলা হয় ‘কুরি’, আর কুইন্সল্যান্ডের মানুষদের বলা হয় ‘মারি’ এবং তাসমানিয়ার অ্যাবঅরজিনালরা পরিচিত ‘পালাওয়া’ নামে।
টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার মানুষেরা মূলত কেপ ইয়র্ক পেনিনসুলা এবং পাপুয়া নিউ গিনির মধ্যবর্তী দ্বীপগুলোর ইন্ডিজেনাস অধিবাসী, এবং মূলত মেলানেশিয়ান বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠী।

এই স্বতন্ত্র ইন্ডিজেনাস মানুষদের স্বীকৃতি জানাতে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকার পাশাপাশি অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার পতাকাও ওড়ানো হয়।

‘ইন্ডিজেনাস’, ‘অ্যাবঅরিজিনাল’, ‘টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার’, এবং ‘কান্ট্রি’, এই পদগুলোকে সম্মান জানাতে ইংরেজিতে লেখার সময় এগুলোর প্রথম অক্ষরটিকে বড় হাতের অক্ষরে লেখা হয়, এবং এগুলোকে বিশেষ্য পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ক্যারোলাইন হিউস বলেন,
এই পদগুলোকে সংক্ষিপ্ত করে লেখা বা বলা অনুচিত।

‘কাস্টডিয়ান’ এবং ‘এল্ডার’-এর মত শব্দগুলোও বিশেষ্য পদ। এল্ডাররা হলেন কমিউনিটির সম্মানিত সদস্য যারা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে গভীর জ্ঞান রাখেন, এবং সেসব নিয়ে তাদের কথা বলার অনুমতি রয়েছে।

অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগোষ্ঠী তাদের এল্ডারদের ‘আন্টি’ এবং ‘আংকল’ ডাকার মাধ্যমে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। নন-ইন্ডিজেনাস মানুষেরা এই সম্বোধনে তাদের ডাকতে পারবে কিনা তা আগে জিজ্ঞেস করে নেয়া ভাল।
An Indigenous performer participates in a smoking ceremony.
An Indigenous performer participates in a smoking ceremony. Source: Getty / Cameron Spencer/Getty Images
এল্ডারদের প্রায়ই ‘ওয়েলকাম টু কান্ট্রি’ পাঠ করতে অনুরোধ করা হয়। ১৯৮০-এর দশকে রোডা রবার্টস প্রথম এর প্রচলন শুরু করেন। ‘ওয়েলকাম টু কান্ট্রি’ পাঠের মাধ্যমে কোনো কর্মসূচীর শুরুতে অতীত ও ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। এটি কোনো বক্তৃতা, নাচ অথবা স্মোকিং সেরিমনির মাধ্যমে করা হয়।

একইভাবে, গুরুত্ব বহনকারী কোনো সমাবেশে ‘অ্যাকনলেজমেন্ট অব কান্ট্রি’ পাঠ করাও একটি উল্লেখযোগ্য আচরণবিধি।

ক্যারোলাইন হিউস আরও বলেন, অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডারদের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কথা বলার সময় তারা যে ট্রমার ভেতর দিয়ে গিয়েছিল সেটি অনুধাবন করা গুরুত্বপূর্ণ।

টমাস মেয়ো একজন টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার এবং ম্যারিটাইম ইউনিয়ন অব অস্ট্রেলিয়া-র অ্যাসিসট্যান্ট ন্যাশনাল সেক্রেটারি।

তিনি বলেন, তবে সাংস্কৃতিক সৌজন্যবিধি সম্পর্কে জানার জন্যে সম্মানের সাথে প্রশ্ন করতে কোনো বাধা নেই।

এসবিএস-এর এল্ডার ইন রেসিডেন্স আমাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চান যে,
সাংস্কৃতিক সৌজন্যবিধির ধারণাটি সর্বজনীন এবং এর মাধ্যমে আসলে আপনার পাশের মানুষটির ঐতিহ্য ও সম্মানকেই স্বীকৃতি দেয়া হয়।

এই প্রতিবেদনটি ২০২২ সালের মে মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন

Share